সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

 তোমরা যেমন সৎ সৎলোকের সঙ্গে, মন্দ মন্দলোকের সঙ্গে মিশে থাকতে ভালোবাসো। তাগো বেলায় ও সেই রকম।

🌺 জয়গুরু জয়রাম 🌺
আমি ( ফনীন্দ্র কুমার মালাকার )নোট বই ও কলম হাতে লইয়া বলিলাম," ঠাকুর, আজ জঞ্জাল পূর্ণ পাইন বাগানের কাহিনী শুনতে এসেছি।
আমি---- শিলংএ পাইন বৃক্ষের বহু বাগান আছে?
ঠাকুর---- আছে বই কি?
আমি----- তার মধ্যে ১০ টি বাগানে আমাদের নিয়ে গিয়ে নাম কীর্তন করিয়েছিলে। নির্জন নিরালা পাইন বাগানে কীর্তনের কি প্রয়োজন ছিল?
ঠাকুর----- নিশ্চয়ই প্রয়োজন ছিল। তারকব্রহ্ম ১৬ নাম ৩২ অক্ষর হরে কৃষ্ণ রাম হইল প্রণবের তিনটি অবয় অ উ ম। অর্থ হইলো তন্ময় তার সঙ্গে হরিনামে রমন করা। প্রণব কীর্তনের ফল সর্বত্র, সর্বকালে সমভাবে হইয়া থাকে। তারতম্য কিছু নাই। যেমন, অমৃত পানে স্বাদ তিক্ত, কষা, কটু, মিষ্ট
যেমনি লাগুক, অমৃত অমৃতের ফল দিবেই। সেরূপ এই নাম করতে ভালো-মন্দ রুচি,অরুচি যেমন লাগুক না কেন, নাম নামের ফল অবশ্য দিবে। এই কীর্তন শ্রবণে বৃক্ষ তরুলতা পতঙ্গাদি সকল জীবের উন্নত অবস্থা প্রাপ্তি হয়।
আমি---- ঐ ১০ টি বাগানকে লক্ষ্য করেই জঞ্জালপূর্ণ বলেছিলে?
ঠাকুর --- হ তাই।
আমি----কেন? শিলংয়ে আরো বহু পাইন বাগান রয়েছে।
ঠাকুর ----- থাকলে কি হইব? শুধু ওই বাগান গুলিতেই হাজার হাজার বিদ্রোহী আত্মা আশ্রয় নিয়েছিল। তাগো মধ্যেও ভালো মন্দ রকমের ফের আছে। তোমরা যেমন সৎ সৎলোকের সঙ্গে, মন্দ মন্দলোকের সঙ্গে মিশা থাকতে ভালোবাসো, তাগো বেলাও সেইরকম। তারা তাগ অবস্থান্তর প্রাপ্তির জন্য সর্বদা আইসা কাকুতি-- মিনতি জানাই তো।
আমি---- আমাদের কীর্তনের ফলেই বিদ্রোহী আত্মাগুলির অবস্থানর প্রাপ্তি ঘটে?
ঠাকুর--- নিশ্চয়ই। নামের অসীম ও অমোঘ শক্তি। অসম্ভব সম্ভব করতে পারে একমাত্র নামে।
আমি----- মানব দেহত্যাগের পর সকলেই কি বিদোহী অবস্থায় থাকতে হয়? নাকি কেউ কেউ সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় মানব জন্ম পায়?
ঠাকুর----- পূর্বজন্মের কৃতকর্মের ফল অনুযায়ী বিধান করেন ভবিতব্য।
আমি----- ভবিতব্য কি ভগবান?
ঠাকুর ---না, ভবিতব্য ভগবান নন। জীবের জন্মান্তরীন কর্মফল অনুযায়ী জন্ম কর্ম ও মৃত্যুর বিধায়ক ভবিতব্য। ভবিতব্যের আশ্রয়ে থাকতে ভগবত প্রাপ্তি ঘটে না। মায়াচক্রের অধীন থাইক্কা ভবিতব্যের হাত এড়ান যায় না। গতাগতি ঘুচলে ভবিতব্য থাকে না, ভগবত সন্নিধানে যাওয়া যায়।
🙏জয় রাম জয় গোবিন্দ 🙏
🌺 রাম ভাই স্মরনে 🌺

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্রহরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ,কৃষ্ণ কৃষ্ণ, হরে হরে।হরে রাম, হরে রাম,রাম রাম, হরে হরে।

  #Kirtan #BhaktiKirtan #DevotionalSongs #SpiritualKirtan #KirtanVibes #KirtanMeditation #KirtanBhajan #HinduDevotionalMusic #MantraChanting #DivineKirtan
  জয় রাম, জয় গোবিন্দ,, শ্রীশ্রীরামঠাকুর ১২৬৬বাং ২১শে মাঘ, বৃহস্পতিবার, মাঘী দশমী তিথিতে এই ধরাধামে আবির্ভূত হইয়াছেন।জ্যোতিষীদের বিচারে ইহা অতীব শুভদিন।এমনি এক প্রশস্ত লগ্নে রাঢ়ীয় ভরদ্বাজ ব্রাহ্মণকুলে তিনি আবির্ভূত হইলেন।তাঁহার সঙ্গে আসিলেন ভাই লক্ষ্মন।শতবার্ষিকী স্মারকগ্রন্থে শ্রীশ্রীরামঠাকুরের জন্ম সম্বন্ধে বলা হইয়াছে,শ্রীশ্রীঠাকুরের পিতৃদেব ঁরাধামাধব চক্রবর্ত্তী বিদ্যালঙ্কার একজন যোগসিদ্ধ মহাপুরুষ ছিলেন।তিনি পঞ্চবটিতে যোগাভ্যাস ও সাধন-ভজনে অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করিতেন।এই পঞ্চবটিতেই তিনি সিদ্ধিলাভ করেন।এই জন্যই পঞ্চবটি পূণ্যভুমি নামে খ্যাত আছে। যেদিন যে সময়ে শ্রীশ্রীরামঠাকুর মাতৃগর্ভ হইতে ভূমিষ্ট হইলেন, ঐ সময়েও তিনি সাধনায় নিমগ্ন ছিলেন।শ্রীশ্রীঠাকুর ভূমিষ্ট হওয়ার পর মাতৃদেবী অসুস্থ হইয়া পড়িলেন।অল্পক্ষণ পরই একটি থলির মধ্যে আর একটি পুত্র সন্তান ভূমিষ্ট হইল।প্রথমাবস্থায় এই থলির মধ্যে কোন সন্তান আছে তাহা উপলব্ধি করা যায় নাই।এমন সময় ঠাকুরের পিতৃদেব পঞ্চবটী হইতে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করিয়া থলি হইতে সন্তান বাহির করাইয়া তাহার প্রাণ বাঁচাইলেন।এই সন্তানটিই সহজাত ভ্রাতা লক্ষ্মণ।এই সম্পর...
  ৩/১৮০। “ মনের অস্থায়ী জল্পনা কল্পনা পরিহারে, সাবিত্রীর ন্যায় সত্যবানের পশ্চাতে থাকিয়া, সত্য অর্থাৎ স্থায়ী অক্ষুণ্ণ রসেতে ডুবিয়া, মনের অধীন মুক্ত হইয়া শান্তি লাভ [করিতে পারে]। মনটাকে জ্বরা প্রকৃতি বলে, আবরণের দ্বারা মনের চেতনা হয়। তাহাতেই লোকে চঞ্চলতা হইয়া শান্তিময় যে সত্যবান, যার অংশ নাই, তাহাকে ভুলিয়া সীমাবদ্ধ অহংকারের দ্বারা আবদ্ধ হয়, জন্ম মৃত্যু দুঃখসাগর ত্যাগ করিতে পারে না। ধৈর্য্যহারা হইয়া দুশ্চিন্তাতে ব্যস্ত হইয়া থাকে। সত্যের অধিন হইলে এই কর্ত্তাভিমান ত্যাগ হইয়া জন্ম মৃত্যু দুঃখ কষ্ট সকলি ত্যাগ হইয়া থাকে। লোক ঘুমাইলে কেহ থাকে না, জাগিলে বহুরূপ [?] হইয়া নানান উপসর্গের অধিন হইয়া কষ্ট পায়।”