“মা, নাম নিবেন?” তিনি মাথা নাড়িয়া সন্মতি জানাইলে ঠাকুর বলিলেন, আমি ‘নাম’ বলিয়া যাইতেছি, আপনি আমার সাথে সাথে ঐ নাম আবৃত্তি করিয়া যাইবেন।এই বলিয়া শ্রীশ্রী ঠাকুর চক্ষু মুদ্রিত করিলেন এবং অল্পক্ষণ পরে ছয় অক্ষর যুক্ত নাম মহামন্ত্র উচ্চারণ করিতে লাগিলেন। মহিলাটিও ঠাকুরের নির্দ্দেশ অনুযায়ী ঐ নাম মহামন্ত্র আবৃত্তি করিয়া চলিলেন। এই ভাবে অষ্টাদশ বার আবৃত্তি করার পর ঠাকুর থামিয়া অতি আবেগভরে বলিতে লাগিলেন “মা, এই যে নাম পাইলেন ইহার ভিতরে কিন্তু প্রাণ আছে। আপনি ত সন্তানের মা। তাই জানেন যে সন্তান যখন ভূমিষ্ট হয়, তখন তাহার প্রাণের স্পন্দন বুঝা যায় না। ভূমিষ্ট হওয়ার পর ধাত্রী তাহাকে ধুইয়া মুছাইয়া শুকনা কাপড়ে জড়াইয়া নিয়া প্রাণ স্পন্দন দেয়। পরে সন্তান মুখব্যাদান করিলে অতি সন্তর্পণে ভিজা নেকড়ার সাহায্যে মিশ্রিত জল মুখে দেয়। আপনিও তাহার মুখে স্তন হইতে ক্ষীরধারা দেন। এভাবে যত্ন করিতে করিতে শিশু ক্রমে চোখ মেলে, হাত পা নাড়ে, তাহার মুখে হাসি ফোটে। ভূমিষ্ট হওয়ার সময় হইতে মা, শিশুকে যে ভাবে যত্ন করেন, তাহা মন দিয়া করেন না, করেন প্রাণ দিয়া। শিশুর প্রতি মায়ের এই যে টানে যত্ন, সেরূপ যত্ন...