সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

শ্রীশ্রীঠাকুরকে চন্দন দ্বারা সজ্জিত প্রসঙ্গঃ@thegloryoframthakur#bedbani...

“মা, নাম নিবেন?” তিনি মাথা নাড়িয়া সন্মতি জানাইলে ঠাকুর বলিলেন, আমি ‘নাম’ বলিয়া যাইতেছি, আপনি আমার সাথে সাথে ঐ নাম আবৃত্তি করিয়া যাইবেন।এই বলিয়া শ্রীশ্রী ঠাকুর চক্ষু মুদ্রিত করিলেন এবং অল্পক্ষণ পরে ছয় অক্ষর যুক্ত নাম মহামন্ত্র উচ্চারণ করিতে লাগিলেন। মহিলাটিও ঠাকুরের নির্দ্দেশ অনুযায়ী ঐ নাম মহামন্ত্র আবৃত্তি করিয়া চলিলেন। এই ভাবে অষ্টাদশ বার আবৃত্তি করার পর ঠাকুর থামিয়া অতি আবেগভরে বলিতে লাগিলেন “মা, এই যে নাম পাইলেন ইহার ভিতরে কিন্তু প্রাণ আছে। আপনি ত সন্তানের মা। তাই জানেন যে সন্তান যখন ভূমিষ্ট হয়, তখন তাহার প্রাণের স্পন্দন বুঝা যায় না। ভূমিষ্ট হওয়ার পর ধাত্রী তাহাকে ধুইয়া মুছাইয়া শুকনা কাপড়ে জড়াইয়া নিয়া প্রাণ স্পন্দন দেয়। পরে সন্তান মুখব্যাদান করিলে অতি সন্তর্পণে ভিজা নেকড়ার সাহায্যে মিশ্রিত জল মুখে দেয়। আপনিও তাহার মুখে স্তন হইতে ক্ষীরধারা দেন। এভাবে যত্ন করিতে করিতে শিশু ক্রমে চোখ মেলে, হাত পা নাড়ে, তাহার মুখে হাসি ফোটে। ভূমিষ্ট হওয়ার সময় হইতে মা, শিশুকে যে ভাবে যত্ন করেন, তাহা মন দিয়া করেন না, করেন প্রাণ দিয়া। শিশুর প্রতি মায়ের এই যে টানে যত্ন, সেরূপ যত্ন এই নামের প্রতিও প্রাণ দিয়া করিতে হইবে।
জয়রাম 🌺🌿
গুরু কৃপাহি কেবলম্

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্রহরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ,কৃষ্ণ কৃষ্ণ, হরে হরে।হরে রাম, হরে রাম,রাম রাম, হরে হরে।

  #Kirtan #BhaktiKirtan #DevotionalSongs #SpiritualKirtan #KirtanVibes #KirtanMeditation #KirtanBhajan #HinduDevotionalMusic #MantraChanting #DivineKirtan
  জয় রাম, জয় গোবিন্দ,, শ্রীশ্রীরামঠাকুর ১২৬৬বাং ২১শে মাঘ, বৃহস্পতিবার, মাঘী দশমী তিথিতে এই ধরাধামে আবির্ভূত হইয়াছেন।জ্যোতিষীদের বিচারে ইহা অতীব শুভদিন।এমনি এক প্রশস্ত লগ্নে রাঢ়ীয় ভরদ্বাজ ব্রাহ্মণকুলে তিনি আবির্ভূত হইলেন।তাঁহার সঙ্গে আসিলেন ভাই লক্ষ্মন।শতবার্ষিকী স্মারকগ্রন্থে শ্রীশ্রীরামঠাকুরের জন্ম সম্বন্ধে বলা হইয়াছে,শ্রীশ্রীঠাকুরের পিতৃদেব ঁরাধামাধব চক্রবর্ত্তী বিদ্যালঙ্কার একজন যোগসিদ্ধ মহাপুরুষ ছিলেন।তিনি পঞ্চবটিতে যোগাভ্যাস ও সাধন-ভজনে অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করিতেন।এই পঞ্চবটিতেই তিনি সিদ্ধিলাভ করেন।এই জন্যই পঞ্চবটি পূণ্যভুমি নামে খ্যাত আছে। যেদিন যে সময়ে শ্রীশ্রীরামঠাকুর মাতৃগর্ভ হইতে ভূমিষ্ট হইলেন, ঐ সময়েও তিনি সাধনায় নিমগ্ন ছিলেন।শ্রীশ্রীঠাকুর ভূমিষ্ট হওয়ার পর মাতৃদেবী অসুস্থ হইয়া পড়িলেন।অল্পক্ষণ পরই একটি থলির মধ্যে আর একটি পুত্র সন্তান ভূমিষ্ট হইল।প্রথমাবস্থায় এই থলির মধ্যে কোন সন্তান আছে তাহা উপলব্ধি করা যায় নাই।এমন সময় ঠাকুরের পিতৃদেব পঞ্চবটী হইতে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করিয়া থলি হইতে সন্তান বাহির করাইয়া তাহার প্রাণ বাঁচাইলেন।এই সন্তানটিই সহজাত ভ্রাতা লক্ষ্মণ।এই সম্পর...
  "গুনাহ" ডিঙ্গা মানিকে একবার ঠাকুরের উৎসব চলাকালীন ইন্দ্র বাবু এক মুসলমান ভক্তকে ডাকিয়া কহিলেন, ও মিয়া ভাই! একবার এদিকে এসো তো! মিয়া ভাই তাহার সামনে আসলে ইন্দ্র বাবু তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, আচ্ছা মিয়া ভাই তুমি যে ঠাকুরের ভোগের জন্য এত কিছু সঙ্গে করিয়া নিয়ে আসিয়াছো! ইহাতে তোমার গুনাহ হইবো না? মুসলমান ভক্তটি উত্তরে কহিলেন, কি যে কন কর্তা! গুনাহ হতে যাইব কেন? আমাগো ঠাকুর তো হিন্দুও নন আবার মুসলমানও নন। একটা কাম করেন কর্তা - আপনি ওই উচু টিলার উপর বইসা নিচের দিকে একবার তাকাইয়া দেখেন। দেখবেন সবাইরে সমান দেখাইতাছে। জানেন কর্তা? আমাগো ঠাকুর ও ঠিক ওই উচু টিলার উপর বসে আছেন। তার কাছে সবাই সমান। ভক্ত টির উত্তর ইন্দ্র বাবুকে পুরোপুরি অবাক কইরা দিল। ইন্দ্র বাবুর মনে হলো যে ঠাকুরের কৃপায় এই মুসলমান ভক্ত টির মধ্যে যে বোধের জন্ম হইয়াছে! তাহা হয়তো ঠাকুরের অনেক ভক্তের মধ্যে হয় নাই। সকলেই সংসার আছে দলাদলিয আর সম্প্রদায় লইয়া। কিন্তু নিরঞ্জন নাম লইয়া যিনি আছেন, তিনি হলেন সকল সাম্প্রদায়িকতা ও দলাদলির উর্ধে। জয়রাম জয় গোবিন্দ শুভ দুপুর