সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

"আশ্রিতের ডাকে ঠাকুরের আবির্ভাব | শ্রীশ্রী রামঠাকুরের এক অলৌকিক ঘটনা"

 "আশ্রিতের ডাকে ঠাকুরের আবির্ভাব | শ্রীশ্রী রামঠাকুরের এক অলৌকিক ঘটনা"

দয়াল গুরুর চরণ কমল এ  রইলো শতকোটি প্রণাম। 

🌿 "ঠাকুর কখনও আশ্রিতকে ছেড়ে যান না... ভয়, বিপদে তিনি ভক্তের পাশে থাকেন। আজ শুনব এমনই এক অলৌকিক ঘটনা, যেখানে এক ভক্তের ডাকে স্বয়ং শ্রীশ্রী রামঠাকুর আবির্ভূত হন!"

আশ্রিতের ডাকে ঠাকুরের আবির্ভাবঃ
গুরু কীভাবে আশ্রিতের ডাকে আবির্ভূত হয়ে ভক্তকে উদ্ধার করেন, নিশঙ্ক চিত্তেনিশঙ্ক চিত্তে" অর্থ নির্ভীক মন নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে তার পথ প্রদর্শন করেন এমন একটি ঘটনা ঠাকুরের একান্ত শিষ্য আগরতলার প্রতিথযশা প্রধান  শিক্ষক শিতিকণ্ঠ সেনগুপ্ত মহাশয় জানিয়েছেন।
তিনি নিজে পূজায় উপস্থিত ছিলেন। কুঞ্জবন হিন্দি কলেজ হোস্টেলে পূজা শেষে যোগেশ্বর কর্মকারের জীবনে ওই অদ্ভূত ঘটনা ঘটেছিল।
 শ্রীশ্রী সত্যনারায়ণ পূজার ব্যাবস্থা ওই হোস্টেলে হয় এবং তার পূজক ছিলেন তারিনী ভট্টাচার্য। সত্যনারায়ণ পূজা, নাম, গান, ভোগ নিবেদন, আরাধনা এবং প্রসাদ বিতরণ এসব শেষ হতে রাত ১২টা বেজে যায়। 
তখনকার আগরতলা দিনেই শোনশান আর এত গভীর রাতে সকলকে প্রসাদ বিতরণ শেষ করে ও নিজে প্রসাদ গ্রহণ করে যখন বাড়ির দিকে চললেন কর্মকার, সঙ্গিগণ অন্য রাস্তায় চলে যাওয়াতে তিনি প্রায় ছুটতে ছুটতে পথ অতিক্রম করছিলেন।
 মনে ভয় তাই শ্রীশ্রী ঠাকুরের নাম জপ করে চলেছেন। কিন্তু সামনে তাকিয়ে তিনি মনে যেন ভরসা পেলেন। যোগেশ্বর বাবুর সামনে কিন্তু একটু দুরে এক বৃদ্ধ হেঁটে চলেছেন এবং মাঝে মাঝে পিছনে ফিরে তাকাচ্ছেন। বৃদ্ধের পায়ে লাল কেটস, হাতে লাঠি এবং গায়ে কম্বল।
 যোগেশ্বর বাবু হাঁপাতে হাঁপাতে আর দৌড়ে ওই বৃদ্ধকে পার হয়ে যাচ্ছিলেন তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন -
আপনি দৌড়ান ক্যান?
যোগেশ্বর বাবু - আমি একা পড়েছি। আমার সঙ্গের সকল লোক চলে গেছেন।
বৃদ্ধ ভদ্রলোক- কোথায় গিয়েছিলেন?
যোগেশ্বর বাবু- শ্রীশ্রী সত্যনারায়ণ পুজো ছিল, সেখানে গিয়েছিলাম।
বৃদ্ধ ভদ্রলোক- কী! সত্যনারায়ণ?
যোগেশ্বর বাবু- শ্রীশ্রী রামঠাকুরের প্রচার করা সত্যনারায়ণ।
বৃদ্ধ ভদ্রলোক- দৌড়ান ক্যান! আমি তো ঠাকুরকে দেখেছি।
যোগেশ্বর বাবু- আমি একা।
বৃদ্ধ ভদ্রলোক- ঠাকুর ত বলেছেন- 'আমি ত আপনাগো সঙ্গে সঙ্গেই থাকি।'
আপনি একলা কীভাবে? গুরু ত সঙ্গে থাকেন। আপনি একলা কী করে হলেন?

এভাবে বৃদ্ধের সাথে সাথে যোগেশ্বর বাবু হেঁটে বিদুর্ কর্ত্তা চৌমুহনীতে এলেন। কিন্তু পাশে তাকিয়ে তিনি দেখেন ওই বৃদ্ধ অদৃশ্য হয়ে গেছেন। তার চার দিকে তাকিয়ে কোথাও তিনি দেখতে পেলেন না এই বৃদ্ধকে।

ভয় বিপদ বা যে কোনো অবস্থায় ঠাকুর আশ্রিতদেরকে উদ্ধার করেন। এ তাঁর একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এই স্মৃতি যোগেশ্বর বাবু যত দিন জীবিত ছিলেন ততদিনই প্রচার করে গেছেন। ঠাকুর সব সময়ই আশ্রিতের সাথে থাকেন।
জয় রাম। জয় গোবিন্দ।। 


"ঠাকুর সর্বদাই ভক্তের সাথে থাকেন। আমাদের শুধু বিশ্বাস রাখতে হবে, আশ্রয় নিতে হবে তাঁর চরণে।
আপনারা কি কখনও এমন অলৌকিক অনুভূতি পেয়েছেন? কমেন্টে জানান।
ভক্তির এই যাত্রায় আমাদের সঙ্গে থাকুন, শেয়ার করুন, লাইক দিন, এবং সাবস্ক্রাইব করুন!"

🔔 জয় রাম! জয় গোবিন্দ!

শ্রীশ্রী রামঠাকুর, ঠাকুরের অলৌকিক ঘটনা, সত্যনারায়ণ পূজা, ঠাকুরের কৃপা, গুরু মহিমা, হিন্দু আধ্যাত্মিক গল্প, ভক্তি লীলা, ঠাকুরের অভিষেক, শ্রীকৃষ্ণ কাহিনি

Hashtags:
#শ্রীশ্রীরামঠাকুর #ঠাকুরেরকৃপা #ভক্তিগান #গুরুমহিমা #সত্যনারায়ণপূজা #হিন্দুধর্ম #আধ্যাত্মিকগল্প #ঠাকুরেরলিলা #ভক্তিরস #হরিনাম


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্রহরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ,কৃষ্ণ কৃষ্ণ, হরে হরে।হরে রাম, হরে রাম,রাম রাম, হরে হরে।

  #Kirtan #BhaktiKirtan #DevotionalSongs #SpiritualKirtan #KirtanVibes #KirtanMeditation #KirtanBhajan #HinduDevotionalMusic #MantraChanting #DivineKirtan
  জয় রাম, জয় গোবিন্দ,, শ্রীশ্রীরামঠাকুর ১২৬৬বাং ২১শে মাঘ, বৃহস্পতিবার, মাঘী দশমী তিথিতে এই ধরাধামে আবির্ভূত হইয়াছেন।জ্যোতিষীদের বিচারে ইহা অতীব শুভদিন।এমনি এক প্রশস্ত লগ্নে রাঢ়ীয় ভরদ্বাজ ব্রাহ্মণকুলে তিনি আবির্ভূত হইলেন।তাঁহার সঙ্গে আসিলেন ভাই লক্ষ্মন।শতবার্ষিকী স্মারকগ্রন্থে শ্রীশ্রীরামঠাকুরের জন্ম সম্বন্ধে বলা হইয়াছে,শ্রীশ্রীঠাকুরের পিতৃদেব ঁরাধামাধব চক্রবর্ত্তী বিদ্যালঙ্কার একজন যোগসিদ্ধ মহাপুরুষ ছিলেন।তিনি পঞ্চবটিতে যোগাভ্যাস ও সাধন-ভজনে অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করিতেন।এই পঞ্চবটিতেই তিনি সিদ্ধিলাভ করেন।এই জন্যই পঞ্চবটি পূণ্যভুমি নামে খ্যাত আছে। যেদিন যে সময়ে শ্রীশ্রীরামঠাকুর মাতৃগর্ভ হইতে ভূমিষ্ট হইলেন, ঐ সময়েও তিনি সাধনায় নিমগ্ন ছিলেন।শ্রীশ্রীঠাকুর ভূমিষ্ট হওয়ার পর মাতৃদেবী অসুস্থ হইয়া পড়িলেন।অল্পক্ষণ পরই একটি থলির মধ্যে আর একটি পুত্র সন্তান ভূমিষ্ট হইল।প্রথমাবস্থায় এই থলির মধ্যে কোন সন্তান আছে তাহা উপলব্ধি করা যায় নাই।এমন সময় ঠাকুরের পিতৃদেব পঞ্চবটী হইতে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করিয়া থলি হইতে সন্তান বাহির করাইয়া তাহার প্রাণ বাঁচাইলেন।এই সন্তানটিই সহজাত ভ্রাতা লক্ষ্মণ।এই সম্পর...
  "গুনাহ" ডিঙ্গা মানিকে একবার ঠাকুরের উৎসব চলাকালীন ইন্দ্র বাবু এক মুসলমান ভক্তকে ডাকিয়া কহিলেন, ও মিয়া ভাই! একবার এদিকে এসো তো! মিয়া ভাই তাহার সামনে আসলে ইন্দ্র বাবু তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, আচ্ছা মিয়া ভাই তুমি যে ঠাকুরের ভোগের জন্য এত কিছু সঙ্গে করিয়া নিয়ে আসিয়াছো! ইহাতে তোমার গুনাহ হইবো না? মুসলমান ভক্তটি উত্তরে কহিলেন, কি যে কন কর্তা! গুনাহ হতে যাইব কেন? আমাগো ঠাকুর তো হিন্দুও নন আবার মুসলমানও নন। একটা কাম করেন কর্তা - আপনি ওই উচু টিলার উপর বইসা নিচের দিকে একবার তাকাইয়া দেখেন। দেখবেন সবাইরে সমান দেখাইতাছে। জানেন কর্তা? আমাগো ঠাকুর ও ঠিক ওই উচু টিলার উপর বসে আছেন। তার কাছে সবাই সমান। ভক্ত টির উত্তর ইন্দ্র বাবুকে পুরোপুরি অবাক কইরা দিল। ইন্দ্র বাবুর মনে হলো যে ঠাকুরের কৃপায় এই মুসলমান ভক্ত টির মধ্যে যে বোধের জন্ম হইয়াছে! তাহা হয়তো ঠাকুরের অনেক ভক্তের মধ্যে হয় নাই। সকলেই সংসার আছে দলাদলিয আর সম্প্রদায় লইয়া। কিন্তু নিরঞ্জন নাম লইয়া যিনি আছেন, তিনি হলেন সকল সাম্প্রদায়িকতা ও দলাদলির উর্ধে। জয়রাম জয় গোবিন্দ শুভ দুপুর