সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

 

♥️🙏জয়রাম জয়গোবিন্দ জয় সত্যনারায়ণ🙏♥️
শ্রীশ্রী রাম ঠাকুরের প্রকট লীলা সংবরণের অল্প কিছুকাল পরে
পাহাড়তলী কৈবল্যধাম আশ্রমে দ্বিতীয় মোহন্ত মহারাজ শ্রীমদ্ শ্যামাচরণ চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের উপস্থিতিতে একটি অভূতর্পূব ঘটনার কথা এইবার সংক্ষেপে প্রকাশ করা হইতেছে।
বাদ্যর্ক্য জনিত সামান্য রোগ ভোগে শ্রীধামে একজন আশ্রমিকের দেহ ত্যাগ হইল। ডাক্তার আসিয়া ডেথ্ সার্টিফিকেট দিয়া যাওয়ার পরে মহারাজ শ্যামাদার নিন্দের্শে অপরাপর কয়েকজন আশ্রমিক মৃত ব্যক্তির সৎকারের আয়োজনে তৎপর হইলেন।এমতাবস্থায় তাহারা এক অত্যাশ্চর্য্য ঘটনার সম্মুখীন হয়।
হঠাৎ মৃত ব্যক্তির দেহে প্রাণের স্পন্দন দেখা গেল। প্রাণ সঞ্চার হইলে সেই ব্যক্তি আস্তে আস্তে বলিতে লাগিল, ' তোমরা মহারাজকে খবর দাও। তাঁহাকে আমার বিশেষ কিছু কথা বলার আছে। শীঘ্র তাহার ব্যবস্হা কর,
আমি বেশী সময় পাইব না।
ওইরূপ অভূতপূর্ব বিস্ময়কর ঘটনার কথা শুনিয়া মহারাজ শ্যামাদা সেই মৃত ব্যক্তির নিকট একপ্রকার ছুটিয়া আসিলে, সে ব্যক্তি মহারাজকে বলিতে লাগিলেন,
" মহারাজ অল্প সময়ের জন্য আমাকে দেহে ফিরিয়া আসিতে হইয়াছে। বেশী সময় নাই পুনরায় দেহ ছাড়িয়া আমাকে চলিয়া যাইতে হইবে। এই সময়ের মধ্যে আপনাকে কিছু কথা বলার প্রয়োজন বোধ করিতেছি। আমাকে ঠাকুর মশায় সঙ্গে করিয়া বহুদূরে একটি নিজ্জর্ন স্থানে গেলেন । সেখানে দেখিলাম দিগন্ত ব্যাপী জল আর জল। তাহার মাঝে ক্ষুদ্রাকৃতি দ্বীপে ছোট একটি পর্ণকুটির । ঠাকুর মশায় আমাকে সেই কুটিরের সম্মুখে লইয়া গেলেন। সেই কুটিরের বাহিরে দন্ডায়মান দীর্ঘদেহী ঋযিতুল্য একজন মহাপুরুষ ঠাকুরকে বলিতে শুনিলাম,
" রাম, তুমি এর কাল পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই নিয়া আসিয়াছ। এর আরও সামান্য সময় দেহে অবস্থান করা অবশিষ্ট আছে। কাল বিলম্ব না করিয়া ওকে তাহার দেহে রাখিয়া আইস। কাল পূর্ণ হইলে পুনরায় এই স্থানে লইয়া আসিও। নচেৎ ইহাকে আবার জম্ম পরিগ্রহ করিতে হইবে।"
সদানন্দদাদাকে এই ঘটনার বিবরণ দিয়া শ্যামদা কহিলেন, " জানিস সদা, দয়াল ঠাকুর প্রায়ই আমাকে বলিতেন, ' মনে রাইখেন কালপূর্ণ হইলে আপনাগো স্ব-স্হানে
আমিই নিয়া রাইখা আসতুম। " এই বলিয়া শ্যামদা তাঁহার মতামত প্রকাশ করিলেন,----- ' আশ্রিতদের কাল পূর্ণ হইলে শ্রীশ্রীঠাকুর স্বয়ং তাঁহাদের স্বস্ব স্থানে লইয়া যান। এই ঘটনাতে তাহার উদাহরণ রাখিতে চাহিয়াছেন।।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্রহরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ,কৃষ্ণ কৃষ্ণ, হরে হরে।হরে রাম, হরে রাম,রাম রাম, হরে হরে।

  #Kirtan #BhaktiKirtan #DevotionalSongs #SpiritualKirtan #KirtanVibes #KirtanMeditation #KirtanBhajan #HinduDevotionalMusic #MantraChanting #DivineKirtan
  জয় রাম, জয় গোবিন্দ,, শ্রীশ্রীরামঠাকুর ১২৬৬বাং ২১শে মাঘ, বৃহস্পতিবার, মাঘী দশমী তিথিতে এই ধরাধামে আবির্ভূত হইয়াছেন।জ্যোতিষীদের বিচারে ইহা অতীব শুভদিন।এমনি এক প্রশস্ত লগ্নে রাঢ়ীয় ভরদ্বাজ ব্রাহ্মণকুলে তিনি আবির্ভূত হইলেন।তাঁহার সঙ্গে আসিলেন ভাই লক্ষ্মন।শতবার্ষিকী স্মারকগ্রন্থে শ্রীশ্রীরামঠাকুরের জন্ম সম্বন্ধে বলা হইয়াছে,শ্রীশ্রীঠাকুরের পিতৃদেব ঁরাধামাধব চক্রবর্ত্তী বিদ্যালঙ্কার একজন যোগসিদ্ধ মহাপুরুষ ছিলেন।তিনি পঞ্চবটিতে যোগাভ্যাস ও সাধন-ভজনে অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করিতেন।এই পঞ্চবটিতেই তিনি সিদ্ধিলাভ করেন।এই জন্যই পঞ্চবটি পূণ্যভুমি নামে খ্যাত আছে। যেদিন যে সময়ে শ্রীশ্রীরামঠাকুর মাতৃগর্ভ হইতে ভূমিষ্ট হইলেন, ঐ সময়েও তিনি সাধনায় নিমগ্ন ছিলেন।শ্রীশ্রীঠাকুর ভূমিষ্ট হওয়ার পর মাতৃদেবী অসুস্থ হইয়া পড়িলেন।অল্পক্ষণ পরই একটি থলির মধ্যে আর একটি পুত্র সন্তান ভূমিষ্ট হইল।প্রথমাবস্থায় এই থলির মধ্যে কোন সন্তান আছে তাহা উপলব্ধি করা যায় নাই।এমন সময় ঠাকুরের পিতৃদেব পঞ্চবটী হইতে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করিয়া থলি হইতে সন্তান বাহির করাইয়া তাহার প্রাণ বাঁচাইলেন।এই সন্তানটিই সহজাত ভ্রাতা লক্ষ্মণ।এই সম্পর...
  ৩/১৮০। “ মনের অস্থায়ী জল্পনা কল্পনা পরিহারে, সাবিত্রীর ন্যায় সত্যবানের পশ্চাতে থাকিয়া, সত্য অর্থাৎ স্থায়ী অক্ষুণ্ণ রসেতে ডুবিয়া, মনের অধীন মুক্ত হইয়া শান্তি লাভ [করিতে পারে]। মনটাকে জ্বরা প্রকৃতি বলে, আবরণের দ্বারা মনের চেতনা হয়। তাহাতেই লোকে চঞ্চলতা হইয়া শান্তিময় যে সত্যবান, যার অংশ নাই, তাহাকে ভুলিয়া সীমাবদ্ধ অহংকারের দ্বারা আবদ্ধ হয়, জন্ম মৃত্যু দুঃখসাগর ত্যাগ করিতে পারে না। ধৈর্য্যহারা হইয়া দুশ্চিন্তাতে ব্যস্ত হইয়া থাকে। সত্যের অধিন হইলে এই কর্ত্তাভিমান ত্যাগ হইয়া জন্ম মৃত্যু দুঃখ কষ্ট সকলি ত্যাগ হইয়া থাকে। লোক ঘুমাইলে কেহ থাকে না, জাগিলে বহুরূপ [?] হইয়া নানান উপসর্গের অধিন হইয়া কষ্ট পায়।”