



শ্রীশ্রী রাম ঠাকুরের প্রকট লীলা সংবরণের অল্প কিছুকাল পরে
পাহাড়তলী কৈবল্যধাম আশ্রমে দ্বিতীয় মোহন্ত মহারাজ শ্রীমদ্ শ্যামাচরণ চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের উপস্থিতিতে একটি অভূতর্পূব ঘটনার কথা এইবার সংক্ষেপে প্রকাশ করা হইতেছে।
বাদ্যর্ক্য জনিত সামান্য রোগ ভোগে শ্রীধামে একজন আশ্রমিকের দেহ ত্যাগ হইল। ডাক্তার আসিয়া ডেথ্ সার্টিফিকেট দিয়া যাওয়ার পরে মহারাজ শ্যামাদার নিন্দের্শে অপরাপর কয়েকজন আশ্রমিক মৃত ব্যক্তির সৎকারের আয়োজনে তৎপর হইলেন।এমতাবস্থায় তাহারা এক অত্যাশ্চর্য্য ঘটনার সম্মুখীন হয়।
হঠাৎ মৃত ব্যক্তির দেহে প্রাণের স্পন্দন দেখা গেল। প্রাণ সঞ্চার হইলে সেই ব্যক্তি আস্তে আস্তে বলিতে লাগিল, ' তোমরা মহারাজকে খবর দাও। তাঁহাকে আমার বিশেষ কিছু কথা বলার আছে। শীঘ্র তাহার ব্যবস্হা কর,
আমি বেশী সময় পাইব না।
ওইরূপ অভূতপূর্ব বিস্ময়কর ঘটনার কথা শুনিয়া মহারাজ শ্যামাদা সেই মৃত ব্যক্তির নিকট একপ্রকার ছুটিয়া আসিলে, সে ব্যক্তি মহারাজকে বলিতে লাগিলেন,
" মহারাজ অল্প সময়ের জন্য আমাকে দেহে ফিরিয়া আসিতে হইয়াছে। বেশী সময় নাই পুনরায় দেহ ছাড়িয়া আমাকে চলিয়া যাইতে হইবে। এই সময়ের মধ্যে আপনাকে কিছু কথা বলার প্রয়োজন বোধ করিতেছি। আমাকে ঠাকুর মশায় সঙ্গে করিয়া বহুদূরে একটি নিজ্জর্ন স্থানে গেলেন । সেখানে দেখিলাম দিগন্ত ব্যাপী জল আর জল। তাহার মাঝে ক্ষুদ্রাকৃতি দ্বীপে ছোট একটি পর্ণকুটির । ঠাকুর মশায় আমাকে সেই কুটিরের সম্মুখে লইয়া গেলেন। সেই কুটিরের বাহিরে দন্ডায়মান দীর্ঘদেহী ঋযিতুল্য একজন মহাপুরুষ ঠাকুরকে বলিতে শুনিলাম,
" রাম, তুমি এর কাল পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই নিয়া আসিয়াছ। এর আরও সামান্য সময় দেহে অবস্থান করা অবশিষ্ট আছে। কাল বিলম্ব না করিয়া ওকে তাহার দেহে রাখিয়া আইস। কাল পূর্ণ হইলে পুনরায় এই স্থানে লইয়া আসিও। নচেৎ ইহাকে আবার জম্ম পরিগ্রহ করিতে হইবে।"
সদানন্দদাদাকে এই ঘটনার বিবরণ দিয়া শ্যামদা কহিলেন, " জানিস সদা, দয়াল ঠাকুর প্রায়ই আমাকে বলিতেন, ' মনে রাইখেন কালপূর্ণ হইলে আপনাগো স্ব-স্হানে
আমিই নিয়া রাইখা আসতুম। " এই বলিয়া শ্যামদা তাঁহার মতামত প্রকাশ করিলেন,----- ' আশ্রিতদের কাল পূর্ণ হইলে শ্রীশ্রীঠাকুর স্বয়ং তাঁহাদের স্বস্ব স্থানে লইয়া যান। এই ঘটনাতে তাহার উদাহরণ রাখিতে চাহিয়াছেন।।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন