সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ঠাকুরের চিত্রপট কেবল ছবি নয়। ভক্ত কথা বলাতে চাইলে কথা বলেন, পরামর্শ চাই...

"আশ্রিতের ডাকে ঠাকুরের আবির্ভাব | শ্রীশ্রী রামঠাকুরের এক অলৌকিক ঘটনা"

 "আশ্রিতের ডাকে ঠাকুরের আবির্ভাব | শ্রীশ্রী রামঠাকুরের এক অলৌকিক ঘটনা" দয়াল গুরুর চরণ কমল এ  রইলো শতকোটি প্রণাম।  🌿 "ঠাকুর কখনও আশ্রিতকে ছেড়ে যান না... ভয়, বিপদে তিনি ভক্তের পাশে থাকেন। আজ শুনব এমনই এক অলৌকিক ঘটনা, যেখানে এক ভক্তের ডাকে স্বয়ং শ্রীশ্রী রামঠাকুর আবির্ভূত হন!" আশ্রিতের ডাকে ঠাকুরের আবির্ভাবঃ গুরু কীভাবে আশ্রিতের ডাকে আবির্ভূত হয়ে ভক্তকে উদ্ধার করেন, নিশঙ্ক চিত্তে নিশঙ্ক চিত্তে" অর্থ নির্ভীক মন নিয়ে  এগিয়ে যেতে পারে তার পথ প্রদর্শন করেন এমন একটি ঘটনা ঠাকুরের একান্ত শিষ্য আগরতলার প্রতিথযশা প্রধান  শিক্ষক শিতিকণ্ঠ সেনগুপ্ত মহাশয় জানিয়েছেন। তিনি নিজে পূজায় উপস্থিত ছিলেন। কুঞ্জবন হিন্দি কলেজ হোস্টেলে পূজা শেষে যোগেশ্বর কর্মকারের জীবনে ওই অদ্ভূত ঘটনা ঘটেছিল।  শ্রীশ্রী সত্যনারায়ণ পূজার ব্যাবস্থা ওই হোস্টেলে হয় এবং তার পূজক ছিলেন তারিনী ভট্টাচার্য। সত্যনারায়ণ পূজা, নাম,  গান, ভোগ নিবেদন, আরাধনা এবং প্রসাদ বিতরণ এসব শেষ হতে রাত ১২টা বেজে যায়।  তখনকার আগরতলা দিনেই শোনশান আর এত গভীর রাতে সকলকে প্রসাদ বিতরণ শেষ করে ও নিজে প্রসাদ গ্রহণ করে যখন ...
  জয় রাম, জয় গোবিন্দ,, শ্রীশ্রীরামঠাকুর ১২৬৬বাং ২১শে মাঘ, বৃহস্পতিবার, মাঘী দশমী তিথিতে এই ধরাধামে আবির্ভূত হইয়াছেন।জ্যোতিষীদের বিচারে ইহা অতীব শুভদিন।এমনি এক প্রশস্ত লগ্নে রাঢ়ীয় ভরদ্বাজ ব্রাহ্মণকুলে তিনি আবির্ভূত হইলেন।তাঁহার সঙ্গে আসিলেন ভাই লক্ষ্মন।শতবার্ষিকী স্মারকগ্রন্থে শ্রীশ্রীরামঠাকুরের জন্ম সম্বন্ধে বলা হইয়াছে,শ্রীশ্রীঠাকুরের পিতৃদেব ঁরাধামাধব চক্রবর্ত্তী বিদ্যালঙ্কার একজন যোগসিদ্ধ মহাপুরুষ ছিলেন।তিনি পঞ্চবটিতে যোগাভ্যাস ও সাধন-ভজনে অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করিতেন।এই পঞ্চবটিতেই তিনি সিদ্ধিলাভ করেন।এই জন্যই পঞ্চবটি পূণ্যভুমি নামে খ্যাত আছে। যেদিন যে সময়ে শ্রীশ্রীরামঠাকুর মাতৃগর্ভ হইতে ভূমিষ্ট হইলেন, ঐ সময়েও তিনি সাধনায় নিমগ্ন ছিলেন।শ্রীশ্রীঠাকুর ভূমিষ্ট হওয়ার পর মাতৃদেবী অসুস্থ হইয়া পড়িলেন।অল্পক্ষণ পরই একটি থলির মধ্যে আর একটি পুত্র সন্তান ভূমিষ্ট হইল।প্রথমাবস্থায় এই থলির মধ্যে কোন সন্তান আছে তাহা উপলব্ধি করা যায় নাই।এমন সময় ঠাকুরের পিতৃদেব পঞ্চবটী হইতে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করিয়া থলি হইতে সন্তান বাহির করাইয়া তাহার প্রাণ বাঁচাইলেন।এই সন্তানটিই সহজাত ভ্রাতা লক্ষ্মণ।এই সম্পর...
  তোমরা যেমন সৎ সৎলোকের সঙ্গে, মন্দ মন্দলোকের সঙ্গে মিশে থাকতে ভালোবাসো। তাগো বেলায় ও সেই রকম। জয়গুরু জয়রাম আমি ( ফনীন্দ্র কুমার মালাকার )নোট বই ও কলম হাতে লইয়া বলিলাম," ঠাকুর, আজ জঞ্জাল পূর্ণ পাইন বাগানের কাহিনী শুনতে এসেছি। আমি---- শিলংএ পাইন বৃক্ষের বহু বাগান আছে? ঠাকুর---- আছে বই কি? আমি----- তার মধ্যে ১০ টি বাগানে আমাদের নিয়ে গিয়ে নাম কীর্তন করিয়েছিলে। নির্জন নিরালা পাইন বাগানে কীর্তনের কি প্রয়োজন ছিল? ঠাকুর----- নিশ্চয়ই প্রয়োজন ছিল। তারকব্রহ্ম ১৬ নাম ৩২ অক্ষর হরে কৃষ্ণ রাম হইল প্রণবের তিনটি অবয় অ উ ম। অর্থ হইলো তন্ময় তার সঙ্গে হরিনামে রমন করা। প্রণব কীর্তনের ফল সর্বত্র, সর্বকালে সমভাবে হইয়া থাকে। তারতম্য কিছু নাই। যেমন, অমৃত পানে স্বাদ তিক্ত, কষা, কটু, মিষ্ট যেমনি লাগুক, অমৃত অমৃতের ফল দিবেই। সেরূপ এই নাম করতে ভালো-মন্দ রুচি,অরুচি যেমন লাগুক না কেন, নাম নামের ফল অবশ্য দিবে। এই কীর্তন শ্রবণে বৃক্ষ তরুলতা পতঙ্গাদি সকল জীবের উন্নত অবস্থা প্রাপ্তি হয়। আমি---- ঐ ১০ টি বাগানকে লক্ষ্য করেই জঞ্জালপূর্ণ বলেছিলে? ঠাকুর --- হ তা...
  "গুনাহ" ডিঙ্গা মানিকে একবার ঠাকুরের উৎসব চলাকালীন ইন্দ্র বাবু এক মুসলমান ভক্তকে ডাকিয়া কহিলেন, ও মিয়া ভাই! একবার এদিকে এসো তো! মিয়া ভাই তাহার সামনে আসলে ইন্দ্র বাবু তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, আচ্ছা মিয়া ভাই তুমি যে ঠাকুরের ভোগের জন্য এত কিছু সঙ্গে করিয়া নিয়ে আসিয়াছো! ইহাতে তোমার গুনাহ হইবো না? মুসলমান ভক্তটি উত্তরে কহিলেন, কি যে কন কর্তা! গুনাহ হতে যাইব কেন? আমাগো ঠাকুর তো হিন্দুও নন আবার মুসলমানও নন। একটা কাম করেন কর্তা - আপনি ওই উচু টিলার উপর বইসা নিচের দিকে একবার তাকাইয়া দেখেন। দেখবেন সবাইরে সমান দেখাইতাছে। জানেন কর্তা? আমাগো ঠাকুর ও ঠিক ওই উচু টিলার উপর বসে আছেন। তার কাছে সবাই সমান। ভক্ত টির উত্তর ইন্দ্র বাবুকে পুরোপুরি অবাক কইরা দিল। ইন্দ্র বাবুর মনে হলো যে ঠাকুরের কৃপায় এই মুসলমান ভক্ত টির মধ্যে যে বোধের জন্ম হইয়াছে! তাহা হয়তো ঠাকুরের অনেক ভক্তের মধ্যে হয় নাই। সকলেই সংসার আছে দলাদলিয আর সম্প্রদায় লইয়া। কিন্তু নিরঞ্জন নাম লইয়া যিনি আছেন, তিনি হলেন সকল সাম্প্রদায়িকতা ও দলাদলির উর্ধে। জয়রাম জয় গোবিন্দ শুভ দুপুর
  ৩/১৮০। “ মনের অস্থায়ী জল্পনা কল্পনা পরিহারে, সাবিত্রীর ন্যায় সত্যবানের পশ্চাতে থাকিয়া, সত্য অর্থাৎ স্থায়ী অক্ষুণ্ণ রসেতে ডুবিয়া, মনের অধীন মুক্ত হইয়া শান্তি লাভ [করিতে পারে]। মনটাকে জ্বরা প্রকৃতি বলে, আবরণের দ্বারা মনের চেতনা হয়। তাহাতেই লোকে চঞ্চলতা হইয়া শান্তিময় যে সত্যবান, যার অংশ নাই, তাহাকে ভুলিয়া সীমাবদ্ধ অহংকারের দ্বারা আবদ্ধ হয়, জন্ম মৃত্যু দুঃখসাগর ত্যাগ করিতে পারে না। ধৈর্য্যহারা হইয়া দুশ্চিন্তাতে ব্যস্ত হইয়া থাকে। সত্যের অধিন হইলে এই কর্ত্তাভিমান ত্যাগ হইয়া জন্ম মৃত্যু দুঃখ কষ্ট সকলি ত্যাগ হইয়া থাকে। লোক ঘুমাইলে কেহ থাকে না, জাগিলে বহুরূপ [?] হইয়া নানান উপসর্গের অধিন হইয়া কষ্ট পায়।”

পৌষ সংক্রান্তির দিন ঠাকুরের অলৌকিক দর্শন | শ্রীশ্রী রামঠাকুরের কাহিনি 🔸 আপনাগো দুই ভাইয়ের কান্ড | শ্রীশ্রী ঠাকুরের লীলা | পৌষ সংক্রান্তি

  পৌষ সংক্রান্তির দিন ঠাকুরের অলৌকিক দর্শন | শ্রীশ্রী রামঠাকুরের কাহিনি 🔸 আপনাগো দুই ভাইয়ের কান্ড | শ্রীশ্রী ঠাকুরের লীলা | পৌষ সংক্রান্তি পৌষ সংক্রান্তির দিনে ঘটে যাওয়া এক অলৌকিক ঘটনা। শ্রীশ্রী রামঠাকুরের কৃপা এবং তার ভক্তদের প্রতি নিরন্তর নজরদারি আমাদের জীবনকে কিভাবে প্রভাবিত করে, আজ শোনাবো সেই গল্প। "জয়গুরু জয়রাম। শ্রীশ্রী রামঠাকুরের অলৌকিক লীলার এক নতুন অধ্যায়ে আপনাকে স্বাগত।" "পৌষ সংক্রান্তিতে আপনাগো দুই ভাইয়ের কান্ডকারখানা দেইখ্যা আমি চইল্যা আইছিলাম"। জয়গুরু জয়রাম শ্রীশ্রী ঠাকুরকে কেউ ফাঁকি দিতে পারে না, বিভিন্ন ঘটনায় বহু আশ্রিত তার অসংখ্য প্রমাণ পেয়েছেন। সেবার মহেন্দ্র দাস ঠাকুরকে পৌষ সংক্রান্তিতে নোয়াখালী যাওয়ার নিমন্ত্রণ করেছিলেন। ফেনীতে প্রথম দার বাড়িতে শ্রী শ্রী ঠাকুর তখন অবস্থান করছেন। মহেন্দ্রদাস ঠাকুরকে অনুরোধ করে বলেন --ঠাকুর, এবার পৌষ সংক্রান্তিতে আপনাকে আমাদের বাড়িতে যেতে হবে। পিঠা দিয়া ভোগ দিবে বলে আমার স্ত্রী বিশেষ অনুরোধ করে পাঠিয়েছেন। শ্রী শ্রী ঠাকুর তার বাড়িতে যেতে রাজি হয়েছিলেন। বেশ কিছুদিন পর ফেনী যাও...